নোয়াখালী পৌর নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না: এসপি
নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচনে কাউকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, পেশি শক্তি প্রদর্শন কিংবা কেন্দ্র দখলের সুযোগ দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে নির্বাচনী ব্রিফিংয়ে উপস্থিত পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও এপিবিএন সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
কাল রোববার নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনে লড়ছেন ১৪ জন এবং ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৬৩ জন প্রার্থী।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় এই পৌরসভা নির্বাচনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। এখানে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোটকেন্দ্রে আসতে পারবেন না। কেউ কারোর ভোট দিতে পারবেন না। আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ছবি মেলানো হবে।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে কেউ যেন অযথা ঢুকতে না পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ ১৩ জন নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রের ফটকে একটি করে স্ট্রাইকিং টিম দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কি না, তাঁরা সেটা যাচাই করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রকে সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি মোবাইল টিম কেন্দ্রের চারপাশে টহল দিবে। কেউ যেন অযথা ঘোরাঘুরি, জমায়েত কিংবা জড়ো হয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেটি দেখা হবে।
এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে এপিবিএনের সমন্বয়ে গঠিত একটি করে বিশেষ স্ট্রাইকিং টিম একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিশেষ এই দল সার্বক্ষণিক প্রতি কেন্দ্রের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি করে দল দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ খান। মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লুৎফুল হায়দার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির নেতা মো. সহিদুল ইসলাম ও আবু নাছের, জাতীয় পাটির মো. সামছুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. শহীদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র কাজী আনোয়ার হোসেন।