নোয়াখালীতে পশুর হাটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পশুর হাটের ইজারার টাকা ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। আহত ছাত্রলীগ নেতার নাম রিফাতুল ইসলাম (২৩)। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।

রিফাতুলের বাড়ি সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াবাড়ি এলাকায়। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ রিফাতকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে বলে হাসপাতাল থেকে জানা গেছে।

ছাত্রলীগের স্থানীয় একাধিক নেতা–কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনাইমুড়ী পৌরসভার হাইস্কুল মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়। গত শুক্রবার ওই হাটের ইজারার দরপত্র কেনেন উপজেলা ছাত্রলীগের ছয়জন নেতা–কর্মী। এই হাট থেকে ওঠানো হাসিলের টাকা পরবর্তীতে বাগবাঁটোয়ারা করে নেওয়ার কথা। এই ভাগবাঁটোয়ারা নিয়েই দুই পক্ষের বিরোধ তৈরি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন মদিনা ভবনের নিচে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা রিফাতুল ইসলাম সোনামণি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাসেলের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় রিফাতুলের বাঁ পায়ে গুলি করে। পরে আশপাশের লোকজন গুলিবিদ্ধ রিফাতুলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল উদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত রাসেলকে কিছুদিন আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পশুর হাটের হাসিলের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে রাসেল ও তাঁর সহযোগীরা রিফাতুলকে গুলি করে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাসেল মাহমুদ। তিনি বলেন, পশুর হাটের ইজারার দরপত্র জমা দেন ছয়জন। পরে তাঁদের মধ্যে সমন্বয় করে দেওয়ার কথা থাকলেও টাকার ভাগ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। যা জ্যেষ্ঠ নেতারা মীমাংসা করেছেন। গুলির ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। একটি পক্ষ তাঁকে ফাঁসাতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রিফাতুলের পায়ের পাতায় আঘাতের চিহ্ন আছে। গুলির আঘাত কি না, তা ডাক্তারি রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে। ঘটনা নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।