দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার রিমান্ড শেষে কারাগারে

দেলোয়ার হোসেন
সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীন শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ৪ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল চেকপোস্টে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে দুটি গুলি, একটি পিস্তলসহ আটক করে র‍্যাব-১১। পরে রাতে দেলোয়ারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে তাঁর মাছের খামারে অভিযান চালিয়ে সাতটি তাজা ককটেল ও দুটি গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব। পরে ভোরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৫ অক্টোবর রাতে র‍্যাব-১১-এর ডিএডি আবদুল বাশেদ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন

ওই অস্ত্র মামলায় দেলোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ রিমান্ড শেষে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামি দেলোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন

বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরের সেই ভুক্তভোগী নারীর (৩৭) করা প্রথম মামলার এজাহারে দেলোয়ারের নাম না থাকলেও আসামিরা সবাই তাঁরই লোক। তাঁরা একত্রে চলাফেলা করেন এবং নানা অপকর্ম করেন। বিবস্ত্র করে নির্যাতনের আগে ওই নারীকে দেলোয়ার হোসেন (২৬) দুবার ধর্ষণ করেছিলেন। নির্যাতনের শিকার ওই নারী গত মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন

আরও পড়ুন

এরপর মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই নারী বাদী হয়ে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দুবার তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজানের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন