তীব্র স্রোতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল শিমুলিয়া ঘাটের পন্টুন
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের চাপে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই ভাগ হয়ে গেছে। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুর বাংলাবাজার নৌপথে বুধবার সকাল আটটা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। এতে ঘাটে এসে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ঘাট ও স্থানীয় লোকজন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা নদীতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এর আগে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি রো-রো ফেরি ছাড়া হলেও এরপর থেকেই শিমুলিয়া ঘাট থেকে আর কোনো ফেরি ছাড়া হয়নি।
সকাল ছয়টা থেকে ফেরি কিশোরী লোড করে ১ নম্বর ফেরিঘাটে নোঙর করে রাখা হয়। বাতাসের কারণে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে শিমুলিয়া ঘাটের পন্টুনগুলোতে।
তবে সকাল ছয়টা থেকে ফেরি কিশোরী লোড করে ১ নম্বর ফেরিঘাটে নোঙর করে রাখা হয়। বাতাসের কারণে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে শিমুলিয়া ঘাটের পন্টুনগুলোতে। সকাল আটটার দিকে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই ভাগ হয়ে যায়। ভেঙে যাওয়া পন্টুনটি বেঁধে রাখা হয়েছে। সকাল থেকে পদ্মায় ঢেউয়ের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ২ নম্বর ঘাটের পন্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় এই নৌপথ ব্যবহারকারীদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় এই নৌপথ ব্যবহারকারীদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ছিল তিন শতাধিক যানবাহন। এগুলোর মধ্যে মালবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।