চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি, সভাপতি ফরিদ ও সা. সম্পাদক সলিম
প্রায় একযুগ পর সম্মেলনের মাধ্যমে ভোটাভুটি করে চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সলিম উল্যাহ। গতকাল শনিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
এর আগে গতকাল চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কুমিল্লার বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল হক ও সাবেক সাংসদ রাশেদা বেগম হীরাসহ জেলা–উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে ভোট গ্রহণ হয়। সভাপতি পদে ৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জনকে মোট ৯৯২ জন কাউন্সিলর ভোট দেন।
সভাপতি প্রার্থী মমিনুলকে কেন্দ্র থেকে শোকজ
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলার সভাপতি প্রার্থী মমিনুল হককে কেন্দ্র থেকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। গতকাল রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাঁকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা তিন দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়।
রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে সহযোগিতা না করে তা বানচালের লক্ষ্যে শাহরাস্তি উপজেলায় একই দিন পাল্টা কাউন্সিল করেন মমিনুল হক। তা ছাড়া দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত ৩০ মার্চ চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ ঘটনাগুলো গুরুতর অসদাচরণ ও সম্পূর্ণভাবে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপির একটি শান্তিপূর্ণ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। কিন্তু মমিনুল হক কিছু নেতা–কর্মীকে বিভ্রান্ত করে গ্রুপিং করায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে জেলা প্রশাসন শহরে সম্মেলনের অনুমতি দেয়নি। পরে সম্মেলনটি শহরের বাইরে গিয়ে করতে হয়। এতে নেতা–কর্মীদের বেগ পেতে হয়েছে।