গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬: র্যাব
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন র্যাব-৮–এর (মাদারীপুর) কমান্ডার মো. সাদেকুল ইসলাম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক ছাত্রী গোপালগঞ্জ শহরের হেলিপ্যাড থেকে নবীনবাগের দিকে ফিরছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজন দুর্বৃত্ত তাঁদের গতি রোধ করে। দুর্বৃত্তরা ছাত্রকে মারপিট করে ওই ছাত্রীকে পাশের নির্মাণাধীন জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাতে ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোনাপাড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীরা দিনভর ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁরা ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর চার দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে জনসমক্ষে তাঁদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা ও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী স্থানীয় লোকজনকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্যাম্পাসে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করা এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করা ও সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া।