বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সাংসদ জয়নুল আবদিন ফারুক।
আজ বুধবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের অনন্তপুর এলাকার একটি মাঠে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জয়নুল আবদিন এ মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। গতকাল ফেনীতে জনসভা করতে দেওয়া হয়নি। আজ নোয়াখালীর সমাবেশ শহর থেকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছেন। এরপরও কী রুখতে পেরেছেন সাধারণ মানুষের জনস্রোত। আজ আপনারা মো. শাহজাহান ও বরকতউল্লার অভাব অনুভব করেননি। আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন, নোয়াখালীর মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি নাকি বিএনপির ঘাঁটি।’
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন বলেন, ‘সেলিম ভাই, বিনা ভোটের উপজেলা চেয়ারম্যান আপনি। বঙ্গভবনের নাটকের মতো আজ এসপি-ডিসিকে দিয়ে তিন দিনে কত নাটক আপনি করেছেন। নানা জায়গায় ঘুরিয়ে বিএনপির সমাবেশকে শহর থেকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছেন, কিন্তু জনস্রোত থামাতে পারেননি।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার ভোট চোরের সরকার। এই সরকার আমাদের ২৫ লাখ লোককে মামলা দিয়েছে। এই সরকারের পতন করতে হবে। এই সরকারের পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই। তাই সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুবের রহমান বলেন, ‘আজকের এই জনসভা প্রমাণ করে, নোয়াখালীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যদি মুক্তি দেওয়া না হয়, যদি সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে নোয়াখালীসহ সারা বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়া হবে।’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও সদস্য মাহবুব আলমগীর। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আইনজীবী আবদুর রহিম, কাজী মফিজুর রহমান, মামুনুর রশিদ, এ বি এম জাকারিয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি মোরতাজুল করিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আনু মোহাম্মদসহ জেলা বিএনপি, সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।