খন্দকার মোশাররফের এপিএস ফোয়াদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য খন্দকার মোশাররফের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এ এইচ এম ফোয়াদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক হোসেন এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল গফফার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অর্থ পাচার, ছোটন বিশ্বাস হত্যা মামলাসহ আটটি মামলার আসামি এ এইচ এম ফোয়াদকে ১২ আক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুরের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। পরদিন তাঁকে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় ছোটন বিশ্বাস হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরপর দুই দফায় মোট চার দিন রিমান্ড শেষে গতকাল তাঁকে ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়।
ছোটন বিশ্বাস হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল গফফার বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের পর আজই আদালতের নির্দেশে এইচ এম ফোয়াদকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (পরে বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির করা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ফোয়াদ। ওই মামলা এবং ছোটন বিশ্বাস হত্যা মামলা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায়।
এ এইচ এম ফোয়াদের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলমের ওপর হামলা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফোয়াদের বিরুদ্ধে যে আটটি মামলা রয়েছে, তার মধ্যে সাতটি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি এ এইচ এম ফোয়াদ। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এ এইচ এম ফোয়াদ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তবে পরে তাঁকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।