মনোহরগঞ্জে ইউপি নির্বাচন
এবার প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চার প্রার্থীর আবেদন
প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গিয়ে তাঁরা ওই আবেদন করেন।
ওই চার চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন উপজেলার ঝলম উত্তর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সরসপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মজুমদার ও একই ইউপির জসিম উদ্দিন এবং লক্ষণপুর ইউপিতে আবদুল বাতেন।
অভিন্ন আবেদনে ওই চার প্রার্থী উল্লেখ করেন, ‘ষষ্ঠ ধাপে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়। এরপর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর আপনাকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) লিখিত আকারে বিষয়টি অবগত করি। এ বছরের ২ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের জন্য আবেদন করি। ৩ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় আদালত কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমাদের মনোনয়ন ফরম দেওয়ার নির্দেশ দেন। মনোনয়ন ফরম দেওয়া হয় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে। কুমিল্লা থেকে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে মনোনয়ন ফরম দাখিল করতে পারিনি। এরপর ১৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে আরেকটি রিট করা হয়। এতে বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবেদনকারীদের মনোনয়ন ফরম জমা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ১৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের আদেশের কপি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়। ২০ জানুয়ারি আমাদের মনোনয়ন ফরম জমা নেন। কিন্তু মনোনয়ন ফরম জমা নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দেননি।’
জানতে চাইলে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকেই তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছি।’
কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ধাপে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩১ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের কথা। ১৩ জানুয়ারি চেয়ারম্যান পদে বাইশগাঁও ইউনিয়নে দুজন, লক্ষণপুর, হাসনাবাদ ও সরসপুরে একজন করে পাঁচজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এতে ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই, তাঁরা একক প্রার্থী। এ অবস্থায় ওই ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে জয়ী হন। এর মধ্যে ঝলম উত্তর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের আবদুল মজিদ খান, লক্ষণপুরে মহিনউদ্দিন চৌধুরী ও সরসপুর ইউপিতে আবদুল মান্নানকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝলম উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আশা করি, ভোট গ্রহণের ধার্য তারিখের আগেই প্রতীক বরাদ্দ পাব। ভোটারের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি।’