চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আশপাশের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকায় বসবাসকারীরা বেশির ভাগই শ্রমিক। বসতঘরগুলো টিনশেডের। উঁচু দালানের সংখ্যা কম। এর মধ্যে যেসব ঘর বা ভবনে কাচের জানালা আছে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে তা ভেঙে গেছে।
আজ রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলের আশপাশের কেশবপুর, মোল্লাপাড়া, লালবেগ গ্রাম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
আগুন, উত্তাপ ও ধোঁয়া ছড়িয়েছে আড়াই বর্গকিলোমিটারজুড়ে
যেভাবে চলছে আগুন নেভানোর চেষ্টা
একনজরে সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ
সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনার জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনা দায়ী: মির্জা ফখরুল
ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী নিখোঁজ, অসুস্থ দুজন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায়
বিস্ফোরণের পর থেকে কালো ধোঁয়া আর কেমিক্যালের পোড়া গন্ধে অসুবিধায় পড়ার কথা জানিয়েছেন আশপাশের তিন গ্রামের বাসিন্দারা। পোড়া গন্ধে বেশি অসুবিধার কথা জানিয়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। মুখে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজনকে।
বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলেছেন, ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজ ও বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের পর ছোট–বড় লোহার টুকরা উড়ে এসে পড়েছে ঘরের চালায়।
কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী লাকী আকাতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর থেকে কালো ধোঁয়া আর গন্ধে টিকতে পারছিলাম না। আতঙ্কে শিশুরা কান্না করছে সারাক্ষণ। বাড়ির বৃদ্ধদেরও খুব কষ্ট হচ্ছে।’
ঘটনাস্থলের উত্তর পাশের গ্রাম মোল্লাপাড়া। এ গ্রামের বাসিন্দা জোহরা বেগম বলেন, বিস্ফোরণের পর তাঁর ঘরের টিভি, ফ্রিজ ও তিনটি বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হয়ে গেছে। উড়ে গেছে ঘরের বেড়ার টিন।
একই গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ডিপোতে বিস্ফোরণের পর ধোঁয়া আর ছাইয়ে ঘর ভরে গেছে। সকাল থেকে স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘরে ভাঙা কাচ আর ছাই পরিষ্কার করেছেন।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ বলেন, অনেক বাড়ি ও মসজিদের জানালার কাচ, দরজার কপাট ভেঙে গেছে। ধোঁয়া ও গন্ধে বেশ বিপাকে পড়েছেন মানুষ। অনেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।