চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার রাতে বোয়ালখালী থানায় নৌকার ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে মিজান ও তাঁর কর্মী–সমথর্কদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। এর পর থেকে পলাতক আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজান ও অনুসারীরা।
চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়া। মিজানুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক। নির্বাচনে অপর প্রার্থী হলেন কাজী আয়েশা ফারজানা। তবে বোয়ালখালী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মিজানুরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন নৌকা প্রতীকের রেজাউল করিম। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় বলে মিজানুরের অভিযোগ।
মুঠোফোনে মিজানুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠ থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া কিংবা প্রচারকাজে বাধা দেওয়ার মতো ক্ষমতা আমার রয়েছে, তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। এটা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস। আশা করি, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখবে।’
বোয়ালখালী থানায় করা মামলায় মিজানুরকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। এ ছাড়া ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী মো. আকতার হোসেন নামের একজন। এজাহারে তিনি নিজেকে নৌকা প্রতীকের সমথর্নকারী উল্লেখ করেছেন। তিনি ৮ নম্বর শ্রীপুর খরনদ্বীপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিজানের লোকজন ক্যাম্প পুড়িয়ে ফেলেছে। তাই মামলা করেছি। বিষয়টি সাজানো নয়।’
এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘মামলা নিয়েছি। অভিযোগের তদন্ত চলছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে।’