ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন চেয়ে ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার আপিল খারিজ করে রায় দেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির বিচারকাজ কোনো ধরনের দেরি ছাড়াই শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই মামলায় বিচারিক আদালতে বিফল হয়ে গত নভেম্বরে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান মোহাম্মদ হোসেন। আদালতে তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।
আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড–সংক্রান্ত এই মামলায় ১০ বছর ৪ মাস ধরে কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি–সংক্রান্ত মামলায় তাঁর ১০ বছর সাজা ভোগও ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অথচ ট্রি প্ল্যান্টেশন–সংক্রান্ত মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি। তিনি ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক নন উল্লেখ করে জামিন চাওয়া হয়। হাইকোর্ট জামিন দেননি। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই মামলার মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের ওই মামলায় গত বছরের ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ে ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জরিমানা স্থগিত করেছেন।