কবি ফররুখ আহমদ বাংলা কবিতার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তাঁর কবিতা অস্বীকার করলে এই জনগোষ্ঠীর এক সময়ের আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে, আত্মমর্যাদার বাসনাকে অস্বীকার করা হয়, বাংলাদেশের কবিতার বিকাশের যে ধারা, সেটাকে অস্বীকার করা হয়। কবি ফররুখ আহমদের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তাদের কথায় এসব কথা উঠে এসেছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মরণসভা।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সরকার আমিন বলেন, ‘ফররুখ আহমদ বাংলা কবিতার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তাঁকে আমরা অর্জন করেছি। একই সঙ্গে তাঁকে ধারণ করা বাংলা কবিতার জন্যই জরুরি।’
‘ফররুখ আহমদকে আমরা কীভাবে পড়ব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুদরত-ই-হুদা। তিনি বলেন, ফররুখ আহমদকে অস্বীকার করলে এই জনগোষ্ঠীর এক সময়ের আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে, আত্মমর্যাদার বাসনাকে অস্বীকার করা হয়। বাংলাদেশের কবিতার বিকাশের যে ধারা, তার যে চড়াই-উতরাই, সংগ্রাম, ঘাত-প্রতিঘাত—তাকেই অস্বীকার করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক কাজী রুমানা আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি ও বাংলা একাডেমির ফেলো আবদুল হাই শিকদার এবং কবি সোহেল হাসান গালিব। অনুষ্ঠানে ফররুখ আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন কবিপুত্র সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। তিনি বলেন, ‘ফররুখ আহমদের কবিতার স্বরের মধ্যে এমন এক শক্তি আছে, যা তাঁকে সমসাময়িক কবিদের মধ্যে বিশেষ স্থান দান করেছে। তিনি বাংলাদেশের কবিতা ও সাহিত্যালোচনায় সব সময়ই প্রাসঙ্গিক ছিলেন। তবে সাহিত্যের একার্থতা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা ফররুখ আহমদসহ অনেক জরুরি সাহিত্যিকদের পাঠে যথাযথ মনোযোগী হইনি।’