বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ডুবে যাচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ

উত্তাল সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় জাহাজটিতে পানি ঢুকতে থাকে। এ সময় জাহাজটি সাগরের উপকূলের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তখনই ডুবতে শুরু করে
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি করা পণ্যের কনটেইনারবাহী একটি জাহাজ ভাসানচরের কাছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ডুবে যাচ্ছে। তবে জাহাজটির নাবিকেরা কাছাকাছি একটি নৌকায় ওঠে রক্ষা পান। জাহাজটি কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনালে যাচ্ছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম ‌এমভি পানগাঁও এক্সপ্রেস। জাহাজটির মালিক চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাহাজটি ‘বেয়ারবোট চার্টার (পরিচালনাসহ সব দায়িত্ব ভাড়া নেওয়া প্রতিষ্ঠানের)’ চুক্তিতে পরিচালনা করে আসছে সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড।

জাহাজটি দিয়ে মূলত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনালে নেওয়া হয়। একইভাবে টার্মিনাল থেকে রপ্তানি পণ্য নৌপথে এনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়।  

দুর্ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক সবুর খান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটিতে ৯৬টি কনটেইনার ছিল। উত্তাল সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় জাহাজটিতে পানি ঢুকতে থাকে। এ সময় জাহাজটি সাগরের উপকূলের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তখনই ডুবতে শুরু করে। তবে সেখানে পানি কম থাকায় জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে যায়নি। অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। জাহাজের ১২ জন নাবিক ও বিআইডব্লিউটিএর ২ জন প্রতিনিধিসহ মোট ১৪ জন আরেকটি নৌযানে ওঠে রক্ষা পেয়েছেন।

দুর্ঘটনার একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, কনটেইনারসহ জাহাজটি পুরোপুরি কাত হয়ে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। জাহাজটির একাংশ পানির ওপরে রয়েছে। বেশির ভাগ কনটেইনার ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটি পরিচালনাকারী সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিকে জাহাজটি দ্রুত উদ্ধার করা জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে নৌ বাণিজ্য অফিসের ইঞ্জিনিয়ার সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ও বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোস্তাহিদুল ইসলামকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।