যুদ্ধের কারণে লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে যেসব বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চাচ্ছেন, তাঁদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ২০ অক্টোবর প্রথম ফ্লাইটে ৫৩ জন এবং ২২ অক্টোবর ৫৮ জন ঢাকায় আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশির সংখ্যা ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০০ জনের মতো দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন। অনেকেই ফেরত আসতে চান না। কারণ, অনেক টাকা খরচ করে গেছেন। দেশে ফিরে কী করবেন, সে জন্য বিপদ জেনেও তাঁরা সে দেশে থেকে যেতে চান।
লেবানন থেকে দেশে ফিরতে যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৬৭ জন ছাড়া কারও বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানিয়েছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ২০০ জনকে ভাড়া করা ফ্লাইটে ফেরত আনার জন্য কাজ করছে। অন্যদের জন্য সরকার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে। প্রতিদিন ৫০ জনের মতো আসতে পারবেন।
বৈরুত থেকে ৫০ জনের বেশি সিট বিমানে পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবাইকে বিমানে আনার নিশ্চয়তা নেই। সে জন্য সমুদ্রপথে তাঁদের তুরস্কের মিরসিন বন্দরে এনে পরে বিমানে দেশে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এটি অনেক ব্যয়বহুল। তারপরও মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় এ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘যাঁরা ফিরে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের জন্য সমস্যা একটু বেশি। তাঁদের জন্য ছাড়পত্র নিতে হবে। আর ছাড়পত্রের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা আছে, সেটি মওকুফ করার ব্যবস্থা করছি। আইওএমের সহায়তা চেয়েছি। ফিরতে ইচ্ছুকদের সরকারি খরচে নিয়ে আসছি।’