চবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিলেন শিক্ষকেরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন। তাঁরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যান।
পরে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কয়েক শ শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক শিক্ষক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা হলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খ আলী আর রাজী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হানিফ সিদ্দিকী, সংস্কৃত বিভাগের লিটন মিত্র, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শাখাওয়াত হোসেন, মাজহারুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের হেলাল উদ্দিন আহমদ, ইতিহাস বিভাগের রন্টু দাশ, দেবাশীষ প্রামাণিক, সংগীত বিভাগের এ কে এম কৌশিক আহমেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস ও রসায়ন বিভাগের ফণীভূষণ বিশ্বাস।
ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ছাত্রীদের হলে ফেরার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক ঘোষণায় বলা হয়, এখন থেকে ছাত্রী হলে প্রবেশের শেষ সময় রাত ১০টা। রাত ১০টার পর ছাত্রীরা আর হল থেকে বের হতে পারবেন না।
কর্তৃপক্ষের এ ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিচারসহ অন্যান্য দাবিতে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চার কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার না করতে পারলে পুরো প্রক্টরিয়াল বডিসহ পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এস মনিরুল হাসান। পরে ছাত্রীরা হলে ফিরে যান।
গত রোববার রাত সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোশাক ও কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়।