বিধিবিধান সাপেক্ষে যেকোনো দলের রাজনীতি করার অধিকার আছে: হাইকোর্ট
হাইকোর্ট বলেছেন, আইনের বিধিবিধান সাপেক্ষে যেকোনো দলের রাজনীতি করার অধিকার আছে। ‘ভুঁইফোড়’ দুটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে গণমাধ্যমে আসা এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন নজরে এনে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশের আরজি জানালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ কথা বলেন।
আদালত বলেছেন, ‘স্যুয়োমটো (স্বতঃপ্রণোদিত) দেওয়া প্রয়োজন মনে করছি না। সংক্ষুব্ধ কেউ প্রয়োজন মনে করলে যথাযথ আকারে আবেদন নিয়ে আসতে পারে।’
‘অচেনা দুটি দলকে নিবন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন’, ‘ভুঁইফোড় দুই দলের নিবন্ধন কি সরকারের পরামর্শে’ শিরোনামে প্রথম আলোসহ এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। তিনি আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম আহ্বায়কও।
পরে আইনজীবী তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মাঠপর্যায়ে তদন্তের পর এবি পার্টি সব শর্ত পূরণ করেছে বলে ইসির অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়। অথচ যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, তখন যাদের নাম কেউ শোনেনি ও সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নেই—এমন দুটি দলকে ইসি নিবন্ধন দিয়েছে। ভুঁইফোড় দলকে নিবদ্ধন দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিতে এনেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, ইসির (নির্বাচন কমিশন) মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যদি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে জটিলতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। তাই স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলেন। স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেওয়া সমীচীন মনে করছেন না বলে আদালত মন্তব্য করেন। আইনের বিধিবিধান সাপেক্ষে যেকোনো দলের রাজনীতি করার অধিকার আছে বলেও উল্লেখ করেছেন। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়, প্রয়োজন মনে করলে যথাযথ আকারে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন, বলেছেন আদালত।
এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, এবি পার্টির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসির চিঠি দেওয়ার কথা। চিঠি হাতে পেলে তা বিশ্লেষণ সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।