'বন্দুকযুদ্ধে' শীর্ষ ডাকাত নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য, নিহত ব্যক্তি এলাকার শীর্ষ ডাকাত ছিলেন। আজ রোববার ভোররাত চারটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ফরিদ আলম ওরফে ডাকাত আলম (৪০)। তাঁর বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের ২টি, অস্ত্র মামলা ২টি, পুলিশের ওপর হামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার দুপুরে ফরিদ আলম ওরফে ডাকাত আলমকে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল গ্রামে অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকারোক্তি দেন। জানান, বুলু মাঝির নেতৃত্বে একটি বাহিনী মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান এনে লেঙ্গুরবিল এলাকাতেই খালাস করবে, এই সূত্র ধরে ভোরে ফরিদ আলমকে নিয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় ফরিদ আলমকে ছিনিয়ে নিতে বুলু বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় হামলাকারীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত আলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিক, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও মো. সেকান্দার।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ আলভি বলেন, হাসপাতালে আনার আগে ফরিদ আলম মারা যান। নিহতের বুকে দুটি গুলির চিহ্ন ছিল। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৫টি গুলি ও ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আলম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে। ইয়াবা পাচারের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগসহ অন্যান্য অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তি শীর্ষ ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি মিয়ানমারের আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিমের সহযোগী ছিলেন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।