স্ত্রীর সঙ্গে কলহ, আড়াই বছরের শ্যালককে অপহরণের পর হত্যা
স্ত্রী তুলি আক্তারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না মীর আবু বকর ফরিদের। এর জেরে ফরিদ তাঁর আড়াই বছর বয়সী শ্যালক রিহানকে অপহরণ ও নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার রিহানকে হাসপাতালে ভর্তিও করেন ফরিদ। তবে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফরিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রিহানের বাড়ি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের খুড়িয়াবাড়ীতে। সেখানে সে মা–বাবার সঙ্গে একটি টিনশেড বাসায় থাকত। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরখানেক আগে রিহানের বোন তুলির সঙ্গে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ফরিদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। নিয়মিত কলহ লেগে থাকতো। একপর্যায়ে তুলি মাতুয়াইলে তাঁর বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তুলিকে নিজের বাসায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ফরিদ। এ জন্য ফরিদ বারবার মাতুয়াইলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যেতেন।
ফরিদ গত সোমবার তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় তিনি কৌশলে ছোট্ট রিহানকে নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর ফরিদ তুলির কাছে ফোন করে রিহানের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে রিহানকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। কিন্তু রিহানের মা-বাবা প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।
পরে রিহানের মা–বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এ ঘটনায় শিশুটির মা শাবানা বেগম বাদী হয়ে জামাতা ফরিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় অপহরণের মামলা করেন। পুলিশ জানায়, শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে সেদিন সন্ধ্যার দিকে ফরিদ শিশুটিকে নিয়ে একটি বাসে ওঠেন। বাসের মধ্যেই তিনি রিহানের অণ্ডকোষে জোরে চেপে ধরেন। রিহান ব্যাথায় চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরেন তিনি। এর ফলে বাসযাত্রীরা ঘটনাটি বুঝতে পারেননি।