সিলেটে পুলিশের হেফাজতে মো. রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁকে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জিয়াদুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
এর আগে টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল।
পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেলা দুইটার দিকে টিটুকে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার বাসিন্দা রায়হানকে কোতোয়ালির বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরের দিন ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে কোতোয়ালি থানায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঞাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে।
পিবিআই সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩ অক্টোবর থেকে মামলাটির তদন্ত করেছ পিবিআই। এর এক সপ্তাহের মাথায় বরখাস্ত হওয়া চার পুলিশের মধ্যে টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফাঁড়িতে কর্মরত তিনজন কনস্টেবলের জবানবন্দি নেওয়া হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এই জবানবন্দিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরখাস্ত কনস্টেবল টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য থেকে পরবর্তী গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হবে।