২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সাত খুনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ৩ পুলিশের সাক্ষ্য

সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন।
প্রথম আলো ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন, তাঁর ভাই-ভাতিজাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা একটি মাদক মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ মামলায় নূর হোসেন ছাড়াও তাঁর ভাই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর উদ্দিন, ভাতিজা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ্ জালাল বাদল ও তাঁর ভাই শাহ্ জাহান, জামাল, শানাউল্লাহ, রিপন ওরফে ভ্যানিজ রিপন, হারুন অর রশিদ ও আলী মোহাম্মদ আসামি। তাঁরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় দুই আসামি পলাতক আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জাসমিন আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় নূর হোসেন ও তাঁর ১০ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ। মাদক আইনে করা ওই মামলায় বর্তমানে সিলেট রেঞ্জে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এস কে আলাউদ্দিন, উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী শাওন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১২ মে ধার্য করেছেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের পর একইভাবে কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ওই বছরের ৩০ ও ৩১ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেন, র‌্যাব ১১–এর সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে উচ্চ আদালত ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।