সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত প্রধান আসামি সাইফুর রহমানের সঙ্গে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে রনিকে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায়ও অভিযুক্ত করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের আগে গত ২২ নভেম্বর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করার পর দুপুরে নগর পুলিশের সংবাদ ব্রিফিংয়ে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র রাখেন সাইফুর রহমান। ধর্ষণের ঘটনার পর ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে শাহপরান থানার একদল পুলিশ ওই কক্ষে তল্লাশি করে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও দুটি চাকু উদ্ধার করে। ছাত্রাবাসের কক্ষটি সাইফুর রহমানের দখলে থাকায় এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে। ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর শাহ মো. মাহবুবুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাইফুরের কক্ষে রাখা অস্ত্রের বিষয়টি স্বীকার করেন।
পরবর্তী সময়ে সাইফুরের সঙ্গে শাহ মো. মাহবুবুরকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সাইফুর ও শাহ মো. মাহবুবুরের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিং করেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) সোহেল রেজা। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যসহ তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।