সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর রহমান (২৮) ও অর্জুন লস্করের (২৫) পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে বেলা ১১টা ৫১ মিনিটের দিকে পুলিশের ভ্যানে করে শাহপরান থানা থেকে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ সদস্যদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আসামিদের আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়ার পর উপস্থিত অনেকে তাদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
এর আগে তরুণী ধর্ষণ মামলায় নাম উল্লেখ করা ছয় আসামির মধ্যে চারজনকে রোববার হবিগঞ্জ ও সুনামঞ্জের পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে এবং বাকি তিন আসামি অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ওরফে হাসান ও শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে রনিকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এজাহারভুক্ত দুই আসামি তারেকুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান পলাতক আছেন।
১২৮ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ। সিলেট-তামাবিল সড়কের পাশে এর অবস্থান। কলেজের ফটকের ভেতরের মাঠে অনেকে বেড়াতে যান। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক দম্পতি এমসি কলেজ এলাকায় বেড়াতে যান। স্বামী রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে যান সিগারেট কিনতে। ফিরে এসে দেখেন স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করছেন কয়েকজন তরুণ। স্বামী প্রতিবাদ করলে মারধর করে তাঁদের দুজনকে গাড়িসহ জোর করে তুলে নিয়ে যান ওই তরুণেরা। এরপর তরুণী কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। ছয় আসামি হলেন সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।