রাজধানীর কলাবাগানের একটি ফ্ল্যাটে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান (৪৭) হত্যার ঘটনায় একই ফ্ল্যাটের সহভাড়াটে (সাবলেট) এক নারী ও তাঁর বন্ধু এবং বাসার দারোয়ান ও কাজী সাবিরার গৃহপরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তবে এখন পর্যন্ত এ হত্যার কারণ বা কারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে কলাবাগান থানায় সাবিরার ফুফাতো ভাই বাদী হয়ে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে সাবিরাকে হত্যা করে আলাতম নষ্ট করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বজনেরাও কিছু বলতে পারছে না। আমরাও এখন পর্যন্ত বলার মতো কিছু পায়নি। তবে সবদিক নিয়েই তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে থানা-পুলিশই রয়েছে।’
গত সোমবার দুপুরের দিকে কলাবাগানের ৫০/১ ফাস্ট লেনের বাসা থেকে ওই নারী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ সেদিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই চিকিৎসক গ্রিন লাইফ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। যে বাসায় ওই চিকিৎসক থাকেন, সেখানে আরও দুটি রুম সাবলেট দেওয়া আছে। ওই চিকিৎসকের পিঠ ও গলায় জখমের চিহ্ন ছিল।
কাজী সাবিরা ওই ফ্ল্যাটে নিজের কক্ষে একাই থাকতেন।