সন্ত্রাসী অমিত খুনের কারণ এখনো অজানা
কারাগারের ভেতর চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীকে কেন, কী কারণে, কার নির্দেশে খুন করা হয়েছে পাঁচ দিনেও জানাতে পারেনি পুলিশ। সম্ভাব্য সব কারণকে সামনে রেখে তদন্ত চলছে। এদিকে এই মামলার আসামি বন্দী রিপন নাথকে আজ সোমবার আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর করা আবেদনের শুনানি হবে। এরপর রিমান্ড শুনানি হতে পারে।
রিপন নাথ নামে এক বন্দীর ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে গত ২৯ মে রাত একটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অমিতের বাবা অভিযোগ করছেন চট্টগ্রামের এক নেতা টাকার বিনিময়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে কারাগারে খুন করিয়েছেন। ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাশহুদুল কবিরকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি কারা অধিদপ্তর অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বাকি দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ–কারা মহাপরিদর্শক ফজলুল হক ও নোয়াখালী কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মনির হোসেন। কমিটির তদন্তকাজ অব্যাহত আছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, অমিতকে খুনের পেছনে যেসব কারণ থাকতে পারে সম্ভাব্য সব বিষয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ। অমিতকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পেছনে দলের কয়েকজনকে সন্দেহ করতেন তিনি। জুন মাসে অমিত মুক্তি পাওয়ার কথা। বের হলে যাঁদের সন্দেহ করতেন তাঁদের কাল হতে পারে। তাঁরাই পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন। এ ছাড়া ঘটনার ১৫ দিন আগে সন্ত্রাসী দীপক দত্ত ভোলার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। প্রতিশোধ নিতে এই ঘটনা কি না—খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আজিজ আহমেদ গতকাল রোববার বিকেলে বলেন, কারাগারের ভেতর খুনের ঘটনায় সম্ভাব্য যেসব কারণ রয়েছে সবগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারাগারের ভেতর থেকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ নেওয়া হচ্ছে। আসামি রিপন খুন করেছেন স্বীকার করলেও কারণ বলছেন না। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।