রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ২৫ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি আবেদন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিতেন কুমার সেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার কারণে অবৈধ কাজ করতে না পারায় এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। কিছু শিক্ষককে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’
শিক্ষকদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রে নিয়োজিত করনিক, দপ্তরি ও দুর্গম এলাকার কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ করা টাকা এবং ২০১৫ সালের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের শিক্ষা মেলার জন্য বরাদ্দ করা টাকা আত্মসাৎ, ২০১৪ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নম্বরফর্দ দেওয়ার বিনিময়ে ১০ টাকা করে আদায়, ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেল নির্ধারণে উৎকোচ গ্রহণ।
জুরাছড়ি উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিত্যানন্দ চাকমা জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে গত মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকেরা সভা করেন। ওই সভার কার্যবিবরণী এবং ২৫ জন প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ আবেদনটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর অনুলিপি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও দেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা জানান, প্রধান শিক্ষকদের আবেদন তাঁর কার্যালয়ে পাঠানো হলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, আবেদনটা মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ পেলে কী করা যায় দেখব।