রাগীব আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

রাগীব আলী
রাগীব আলী

সিলেটের দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান দখল করে সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় রাগীব আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। গতকাল রোববার সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় রাগীব আলী, ছেলে আবদুল হাই, দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও জামিনে থাকা আসামি তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একই আদালতে রাগীব আলী ও ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় সাতজন সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ মামলায় তাঁরা দুজনই আসামি। গত ১২ নভেম্বর আবদুল হাইকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর পক্ষে আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, আত্মসাতের মামলার অভিযোগ গঠনের পর আদালত আগামী ১৪ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ছয় আসামির মধ্যে রাগীব আলী, আবদুল হাই, দেওয়ান মোস্তাক মজিদ গ্রেপ্তার রয়েছেন। গতকাল আদালতে তাঁদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন হয়। পলাতক রয়েছেন রাগীব আলীর মেয়ে রোজিনা কাদির ও জামাতা আবদুল কাদির। জামিনে থাকা আসামি পংকজ কুমার গুপ্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করলে আদালত খারিজ করে দেন। একই দিন জালিয়াতির মামলার পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
জালিয়াতির মামলায় গতকাল তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পরিদর্শক দেওয়ান আবুল হোসেন, সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম ফয়সল আলম, সাবেক সচিব এমদাদুল হক, জেলা প্রশাসনের কর্মচারী শাহনাজ পারভিন, শরাফ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও মদনমোহন কলেজের হিসাবরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা অরিন্দম দত্ত সাক্ষ্য দেন। ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরের পাঠানটুলার উপকণ্ঠে ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। সেখানে তাঁর ও স্ত্রীর নামে মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। হাসপাতাল এলাকার আশপাশের চা-বাগানের জায়গা বিক্রি করা হলে ৭১৫টি প্লটে বাসাবাড়ি স্থাপন করা হয়।