মাইন্ড এইড হাসপাতাল সিলগালা, মালিক গ্রেপ্তার

রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এটা একটা ভুঁইফোড় হাসপাতাল। তারা অবৈধভাবে মানসিক রোগীর চিকিৎসার নামে বাণিজ্য করে আসছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল সোমবার এই হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে এক জ্যেষ্ঠ এএসপির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আদাবর, ঢাকা, ১০ নভেম্বরছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

চিকিৎসার নামে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিকের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদকে আগারগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল হত্যায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালের ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে আদাবর থানার পুলিশ।

মাইন্ড এইড হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম মালিককে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার নিয়াজ মোর্শেদ মাইন্ড এইড হাসপাতালের একজন পরিচালক। অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মাইন্ড এইড হাসপাতালে সোমবার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকে ভর্তি করতে যান তাঁর স্বজনেরা। সেখানেই তাঁকে মারধর করেন হাসপাতালটির কর্মীরা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি নিস্তেজ হয়ে যান। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মারধরের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে আনিসুলের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে হাসপাতালটির মালিক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত হাসপাতালটির মালিকদের ১ জনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।