ভাসমান দোকান উচ্ছেদ, অবৈধ স্থাপনা বহাল

ভাসমান দোকান উচ্ছেদের পর সাভারের আমিনবাজারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশের ফুটপাতের চিত্র। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তোলা ছবি l প্রথম আলো
ভাসমান দোকান উচ্ছেদের পর সাভারের আমিনবাজারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশের ফুটপাতের চিত্র। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তোলা ছবি l প্রথম আলো

সাভারের আমিনবাজারে ফুটপাতের ওপর ভাসমান দোকান বসিয়ে মাছ বিক্রি করতেন আমির হোসেন। তবে গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের এক অভিযানে সেটি উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু ওই ফুটপাতের পাশেই রয়েছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা।
মহাসড়কসংলগ্ন ওই স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বরদেশী গ্রামের বাসিন্দা আমির বললেন, ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ হলেও পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলোর গায়ে কেন আঁচড় পড়ে না?
উচ্ছেদ হওয়া দোকানদারেরা বলেন, আমিনবাজার এলাকায় মহাসড়কের উভয় পাশের ফুটপাতসংলগ্ন সড়ক ও জনপথের (সওজ) জমিতে শতাধিক কাঁচা ও আধা পাকা স্থাপনা রয়েছে। সেখানে হোটেলসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান দিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কিন্তু কখনোই সেগুলো উচ্ছেদ করা হয় না। মঙ্গলবারের অভিযানও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
তবে সাভার উপজেলা পরিষদ বলছে, মঙ্গলবারের ওই উচ্ছেদ অভিযানে শতাধিক ভাসমান দোকানের পাশাপাশি সড়কের দক্ষিণ পাশের তিনটি আধা পাকা স্থাপনাওউচ্ছেদ করা হয়েছে।
ওই তিনটি দোকানের একটি চালাতেন সোহাগ মিয়া। তিনি বলেন, মহাসড়কের পাশের খন্দকার শফি মার্কেটের একটি দোকান ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে তিনি ভাড়ায় নিয়ে চায়ের দোকান দিয়েছিলেন। প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হতো। মঙ্গলবারের অভিযানে তাঁর দোকানসহ তিনটি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একই মার্কেটে তাঁর দোকানের দুই পাশে আরও নয়টি দোকান রয়েছে। সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি।

জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাসের বেগ বলেন, প্রথম পর্যায়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মহাসড়কের উভয় পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।