বড় ভাইকে হত্যার পর রক্তাক্ত খুর হাতে থানায়
‘পারিবারিক বিরোধের’ জেরে ছোট ভাইয়ের খুরের আঘাতে বড় ভাই প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার জংলী গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ওমর ফারুক (৪৭)। তাঁর ছোট ভাই শাহজাহান আলী। বাবার নাম সিদ্দিক আলী।
ঘটনার পর শাহজাহান আলী রক্তাক্ত খুর নিয়ে থানায় হাজির হয়ে বড় ভাইকে খুন করার কথা স্বীকার করেন।
নাটোর সদর থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় ওমর ফারুক জংলী মোড়ে একটি দোকানের সামনে বসে ছিলেন। এ সময় তাঁর ছোট ভাই শাহজাহান আলী সেখানে হাজির হন। তিনি হঠাৎ বড় ভাই ওমর ফারুকের গলায় খুর দিয়ে পোঁচ দেন। তারপর দ্রুত পালিয়ে যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর জানাজানি হওয়ার পর শাহজাহান আলী তাঁর বড় ভাইকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তাক্ত খুর নিয়ে নাটোর সদর থানায় হাজির হন। তিনি তাঁর ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেন।
আজ বুধবার সকালে পুলিশ জানায়, শাহজাহান আলী থানাহাজতে আটক আছেন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত রাজশাহীতে হবে। তারপর তাঁর লাশ নাটোরে নিয়ে আসা হবে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, আত্মসমর্পণের পর সন্দেহভাজন খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহজাহান আলী তাঁর বড় ভাই ওমর ফারুককে খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। পারিবারিক বিরোধটা ঠিক কী ছিল, তা তিনি বলেননি। কথাবার্তা শুনে শাহজাহান আলীকে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে।