ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩ মামলার ৩৩টিরই অভিযোগপত্র

৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৩৩টি মামলা হয়েছে। সব কটি মামলারই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
মামলাগুলোতে ৭৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও এক হাজারজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের অধিকাংশ বিএনপি-জামায়েতের নেতা-কর্মী ও সমর্থক।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় সর্বাধিক ১৯টি মামলা হয়। এ ছাড়া কসবা থানায় পাঁচটি, আখাউড়া ও আশুগঞ্জ থানায় দুটি করে, বিজয়নগর ও নবীনগর থানায় একটি করে করা হয়। ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার পাঘাচং রেল স্টেশন ও কসবা উপজেলার ইমামবাড়ি রেল স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় নাশকতার ঘটনায় আখাউড়া রেল থানায়ও তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৮২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশের দায়ের করা অভিযোগপত্রের ৩৩টি মামলায় এক হাজার ৮৭ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এবং ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন নবীনগরের কাইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সর্বশেষ মামলা দায়ের হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, সহিংসতার ঘটনায় হওয়া ৩৩টি মামলার ৩৩টিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি এবং আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্যই এসব মামলা হয়েছে।