বেড়ানোর কথা বলে কিশোরীকে ৫ দিন আটকে রেখে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
নরসিংদীর মনোহরদীতে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) পাঁচ দিন আটকে রেখে দল বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়।
মামলার প্রধান আসামি হলেন মনোহরদী উপজেলার শাওন মিয়া (২৫)। বাকি চার আসামি হলেন মো. আশিক (২৩), মো. মোবারক হোসেন (২২), মো. সুমন (২২) ও মোবারক হোসেন (২২)। ঘটনার পর থেকে পাঁচজনই পলাতক।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শাওন মিয়ার সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আড়াই মাস আগে শাওন ও ওই কিশোরী নরসিংদী শহরের আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে দুটি স্ট্যাম্পে সই করে। তাদের দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে জানিয়ে বিষয়টি তিন মাস গোপন রাখতে ওই কিশোরীকে অনুরোধ করেছিলেন শাওন। সম্প্রতি মেয়েটি তাদের বিয়ের কাগজপত্র শাওনের কাছে চাইলে সে তালবাহানা করতে থাকেন।
৩ ডিসেম্বর উপজেলার একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন শাওন। সন্ধ্যার পর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে শাওন ও তাঁর চার সহযোগী মেয়েটিকে অজ্ঞাতনামা একটি স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে পাঁচ দিন আটকে রেখে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে মেয়েটিকে বাজারের পাশে ফেলে যান আসামিরা।
মেয়েটির মায়ের ভাষ্য, মেয়ে বাড়ি ফিরে তাঁকে সব খুলে বলে। আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরের দিন বুধবার তিনি মামলা করেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান পাঁচজনকে আসামি করে কিশোরীর মায়ের মামলার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।