বেত্রাঘাতে আহত শিক্ষার্থী হাসপাতালে
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুই শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত হয়ে এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের পানাইল ইউনাইটেড একাডেমিতে।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ জুবায়ের হোসেন (১২)। সে পানাইল ইউনাইটেড একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। জুবায়ের পানাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ শাহীনের ছেলে।
এ ঘটনায় জুবায়ের বাবা সৈয়দ শাহীন আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত ওই অভিযোগে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে টিফিন বিরতির পর জুবায়ের শ্রেণিকক্ষে আসে। এরপর ক্লাস শুরু হলে শ্রেণিশিক্ষক সাবেরা বেগম তার পকেটে সিগারেটের ফিল্টার পান। বিষয়টি তিনি গণিতের শিক্ষক রুস্তুম পালোয়ানকে জানান। এ ঘটনা শুনে রুস্তুম পালোয়ান জুবায়েরকে বেত দিয়ে মারপিট করেন। মার খেয়ে জুবায়ের অন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বাড়িতে চলে যায়। ওই দিন জুবায়েরের বাবা স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরের দিন মঙ্গলবার জুবায়ের বিদ্যালয়ে গেলে ক্রীড়া শিক্ষক নিমাই চন্দ্র আবারও তাকে বেত দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। মার খাওয়ার পরে জুবায়ের বাড়ি ফিরে যায়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, জুবায়েরের শরীরে একাধিক বেতের আঘাত রয়েছে। তবে এর মধ্যে দুটি আঘাত বেশি জোরালো। তিনি বলেন, চিকিৎসা ও পরিপূর্ণ বিশ্রাম পেলে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
যোগাযোগ করা হলে দুই শিক্ষক রুস্তুম পালোয়ান ও নিমাই চন্দ্র জুবায়েরকে বেত্রাঘাতের কথা স্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, ভুলে এ কাজ করেছেন, তবে এমন যাতে আর না হয়, সে জন্য ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নায়েব আলী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে, তার জন্য তিনি দুঃখিত। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য আগামী শনিবার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করেছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা বেগম লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।