বান্দরবানে বাসায় ঢুকে একজনকে গুলি
বান্দরবানে রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালি বাজারে গতকাল রোববার রাতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাসায় ঢুকে অংক্যচিং মারমা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে আজ সোমবার সকালে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অংক্যচিং মারমা আগে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাজবিলার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনজনের একটি সন্ত্রাসী দল তাইংখালি বাজারে যান। তাঁরা অংক্যচিং মারমাকে খোঁজাখুঁজি করেন। সন্ত্রাসীদের একজন বাসায় ঢুকে তাঁর মাথায় গুলি করেন। অংক্যচিং সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যান। তাঁকে গুলি করার পর একটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। ছোট্ট তাইংখালি বাজারটি বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙামাটি সড়কে এবং জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে রাজবিলা ইউনিয়নে অবস্থিত।
গুলিবিদ্ধ অংক্যচিং মারমার ছেলে বাবুল মারমা বলেন, তাঁর বাবা সব সময় মানুষের উপকার করেন। এ জন্য তাঁর সঙ্গে কারও বিরোধ ও শত্রুতা নেই। কারা তাঁকে গুলি করেছেন, তা তিনি বলতে পারেননি।
রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ অংক্যচিং আগে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির রাজনীতি করতেন। তবে এখন নিষ্ক্রিয়। কেন তাঁকে গুলি করা হলো, বোঝা যাচ্ছে না। সন্ত্রাসীরা তাইংখালি বাজারে ঢুকে মারমা ভাষায় কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা কোন দলের তা স্থানীয়রাও শনাক্ত করতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকটি সূত্র বলেছে, অংক্যচিং মারমা জনসংহতি সমিতির রাজনীতি করতেন। এ জন্য মগ পার্টি নামধারী স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী দল তাঁকে গুলি করতে পারেন।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মাথায় গুলিবিদ্ধ অংক্যচিং মারমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা এবং কেন তাঁকে গুলি করেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।