জামালপুর ও বগুড়ায় গতকাল শনিবার দুই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার দায়ে তিন বখাটেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে জামালপুরে ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী বখাটের বাড়িতে হামলা চালায় কয়েক শ শিক্ষার্থী।
জামালপুরে উত্ত্যক্তের শিকার ছাত্রী ধনবাড়ী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। কারাদণ্ড পাওয়া বখাটে তানভীর আহমেদ ওরফে বায়জেদের (২২) বাড়ি পাশের সরিষাবাড়ী উপজেলার পঞ্চাশী মধ্যপাড়া গ্রামে। ধনবাড়ীর উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম আরিফা সীদ্দিকা তানভীরকে কারাদণ্ড দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তানভীর ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন। গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথে মুরশুদী-তারাকান্দি সড়কের সেতুর ওপর তানভীর তার পথ আটকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে সায় না দিলে তিনি ছাত্রীটিকে টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বখাটের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেন। দ্রুত খবরটি বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা জোটবদ্ধ হয়ে পৌনে এক কিলোমিটার দূরে তানভীরের বাড়িতে গিয়ে বসতঘর ভাঙচুর করে। পরে বখাটে তানভীরকে ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে তুলে দেওয়া হয়। তখন শিক্ষার্থীরা তার বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ করে। পুলিশ এসে তানভীরকে ধরে নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
পুলিশ তানভীরকে ধনবাড়ীর ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে গেলে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। এ আদালতের নির্বাহী হাকিম আরিফা সিদ্দিকা বলেন, ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অপরাধে বখাটের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ায় দুই বখাটের কারাদণ্ড
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার পুলিশ জানায়, গত ২৯ অক্টোবর আমরুল ইউনিয়নের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি ফেরার পথে দুই বখাটে ছুরি দেখিয়ে টেম্পোতে উঠিয়ে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি এলাকায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা গত বৃহস্পতিবার শাজাহানপুরের ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। গতকাল সকালে বিদ্যালয়ের কাছে গিয়ে বখাটেরা আবারও ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ বখাটেদের আটক করে। পরে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, দুই বখাটে পলিপলাশ মুন্সিপাড়া গ্রামের সনি ইসলাম (২০) ও রাজারামপুর গ্রামের পায়েল ইসলামকে (২০) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।