ফেসবুকে আপত্তিকর ছবির জেরে ছাত্রীর মৃত্যু: তরুণ গ্রেপ্তার
বিউটির কাকা দীপঙ্কর মণ্ডল বাদী হয়ে মৃত্যুঞ্জয় রায়কে আসামি করে বৃহস্পতিবার তালা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিক্ষার্থী বিউটি মণ্ডলের (১৭) আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় মৃত্যুঞ্জয় রায় (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে তালা উপজেলার খেশরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল গ্রেপ্তারের খবরের সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। বিউটির কাকা দীপঙ্কর মণ্ডল বাদী হয়ে মৃত্যুঞ্জয় রায়কে আসামি করে বৃহস্পতিবার তালা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার জেরে তালার কালাগাছী গ্রামের বিউটি বুধবার আত্মহত্যা করে বলে তার বাবা নিতাই মণ্ডল অভিযোগ করেন। দুপুরে পুলিশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। চলতি বছর এসএসসি পাস করে সে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল।
ওই ছাত্রীর বাবা নিতাই মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে বিউটির মুখমণ্ডলের সঙ্গে বিবস্ত্র এক মেয়ের ছবি জোড়া লাগিয়ে আপত্তিকর ছবি বানানো হয়। এরপর আপত্তিকর কথা লিখে ও তাঁর মেয়ের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে ছবিটি একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর একজন তাঁকে বিষয়টি জানান। ওই ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করা ছবির স্ক্রিনশটও তাঁকে পাঠান। তিনি বলেন, তিনি ৭ সেপ্টেম্বর তালা থানায় বিস্তারিত জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় কলাগাছী গ্রামের বাসিন্দা ও দোলুয়া শহীদ জিয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মৃত্যুঞ্জয় রায় (২০) জড়িত বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই বাবার অভিযোগ, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে, অপমানে ও কষ্টে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আত্মহত্যা করে।
বিউটির মৃত্যুর খবর শুনে ঘরে তালা ঝুলিয়ে মৃত্যুঞ্জয় ও তাঁর বাবা-মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তবে মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা জগদীশ রায় মুঠোফোনে দাবি করেছিলেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে আমার ছেলে জড়িত না। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।’