প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার চেষ্টা
জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক ব্যবসায়ী। তাঁর নাম গাজী আনিস (৫০)। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শাহবাগ থানা–পুলিশ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে। পাওনা টাকা না পেয়ে তিনি গায়ে আগুন দেন বলে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যবসায়ীর এক বন্ধু জানিয়েছেন।
গাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সভাপতি। ১৯৯৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য তিনি। গাজী আনিস কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর পরিবার যশোরে থাকেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ডপ্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন জানিয়েছেন দগ্ধ গাজী আনিসের শরীরে ৯০শতাংশ পুড়ে গেছে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক।
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে এক ব্যক্তি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, তা আমরা এখনো জানতে পারিনি।’
হাসপাতলে মো. আলী নামের গাজী আনিসের এক বন্ধু প্রথম আলোকে বলেন, হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন তিনি। কিন্তু কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে এর আগে মানববন্ধন করেছেন তিনি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আজ গায়ে আগুন দিয়েছেন।
হেনোলাক্স কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মুখমণ্ডলসহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।