প্রশাসন ব্যস্ত করোনা নিয়ে, তারা ব্যস্ত ছিল টিলা ধ্বংসে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতা সৃষ্টি, প্রবাসফেরতদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নানামুখী তৎপরতায় ব্যস্ত স্থানীয় প্রশাসন। অন্যদিকে চোখ ফেরানোর ফুরসত মিলছে না। অফিস-আদালত বন্ধ। যানবাহন বন্ধ। বন্ধ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল। এ রকম একটা স্তব্ধ সময়কেই কাজে লাগাতে চেয়েছিল টিলাখেকোরা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে টিলা কাটার মতো পরিবেশবিনাশী কাজ তারা চালাতে থাকে।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রশাসন ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এ রকম টিলাখেকোদের গতিরোধ করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে টিলা কাটার সঙ্গে জড়িত এক ট্রাক্টরমালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় এই অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল এলাকায় এভাবে টিলার মাটি কাটা চলছিল। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে যায় উপজেলা প্রশাসন। তারা গতকাল বিকেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। এ সময় টিলা কাটার সত্যতা মেলে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ট্রাক্টরের মালিক ছমর উদ্দিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান। উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক। ইউএনও শামীম আল ইমরান গতকাল রাতে বলেন, অবৈধভাবে টিলার মাটি কেটে পরিবহনের অপরাধে এক ট্রাক্টরমালিককে জরিমানা করা হয়েছে। টিলা কাটা বন্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।