পিরোজপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় গত শনিবার দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি ধর্ষণের ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি পলাতক আছেন।

ইন্দুরকানিতে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে মুসা খান (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে মেয়েটির বাবা ইন্দুরকানি থানায় মামলা করায় ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মুসা খানের বাড়ি একই উপজেলায়।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা–যাওয়ার পথে মুসা খান তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তবে একপর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে মুসা খানের সম্পর্ক কিছুটা ভালো হয়। গত শনিবার দুপুরে মেয়েটি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুসা খান কথা বলার জন্য তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। এরপর মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে মুসা পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে মুসা খানকে আসামি করে মেয়েটির বাবা ইন্দুরকানি থানায় মামলা করেন।

ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, মামলার আসামি মুসা খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ভান্ডারিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নবম শ্রেণির (১৬) এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এ ঘটনায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে শামিম মৃধা (৩০) নামের এক শ্রমিককে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেছেন। শামিম মৃধা একই উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা তিনটার দিকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল ওই স্কুলছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে শামিম মৃধা মেয়েটিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে যান। এরপর মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। বাড়ি ফিরে মেয়েটি পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এরপর মেয়েটির মা বাদী হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ভান্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে শামিম মৃধা পলাতক।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই স্কুলছাত্রীকে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।