পল্লবীতে কুপিয়ে হত্যা মামলায় আরেকজন গ্রেপ্তার

শরিফ
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন হত্যায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাঁর নাম শরিফ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার অদূরে কাঁচপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়ালসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

১৬ মে বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর ডি–ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাহিনুদ্দিনকে (২১)। তাঁর বাসা পল্লবীর বুড়িরটেক। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই তরুণ দুই পাশ থেকে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন।

একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন ওই ব্যক্তির ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত।
পরে পুলিশ ফুটেজ দেখে একজনকে মানিক ও অন্যজনকে মনির বলে শনাক্ত করেন। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রূপনগর থানার ইস্টার্ন হাউজিংয়ে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হন।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির পল্লবী অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আহসান খান আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়াল এবং তাঁর প্রধান সহযোগী সুমন ব্যাপারী, হাসান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু রিমান্ডে আছেন। সুমন ব্যাপারী সন্ত্রাসী ভাড়া করা এবং খুনে সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। সুমন সাহিনুদ্দিনকে খুনের জন্য শরিফকে ভাড়া করেছিলেন। আউয়ালের দুই সহযোগী মুরাদ হোসেন ও রকি তালুকদার আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সাহিনুদ্দিন হত্যায় গ্রেপ্তার আরেকজন দীপু কারাগারে।

আরও পড়ুন

১৬ মে বিকেলে সাহিনুদ্দিন সাত বছরের সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। এ সময় পূর্বপরিচিত সুমন ব্যাপারী ও টিটু মুঠোফোনে সাহিনুদ্দিনকে মিরপুর–১২ নম্বর সেকশনের ডি–ব্লকে সিরামিকস গেটে দাওয়াত খেতে ডাকেন। সাহিনুদ্দিন তাঁর ছেলে মাশরাফিকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তখন সুমন ব্যাপারী সাহিনুদ্দিনের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে সুমন লাথি মেরে মোটরসাইকেলসহ সাহিনুদ্দিনকে ফেলে দেন। এ সময় ১৪–১৫ জন সন্ত্রাসী টেনেহিঁচড়ে পাশের একটি বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে তাঁকে রামদা, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে শিশুটির সামনে কোপাতে থাকেন।

আরও পড়ুন

পরে তাঁকে ওই বাড়ির গ্যারেজ থেকে বের করে বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে চলে যান।
ওই ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ আউয়ালসহ পল্লবী এলাকার ২০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।