২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

নুরের বিরুদ্ধে এক ‘সংগীতশিল্পী’র মামলা

নুরুল হক নুর
ফাইল ছবি

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী ইলিয়াস হোসেন একজন সংগীতশিল্পী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে নুরুল হকের বিরুদ্ধে এ নিয়ে দুটি মামলা হলো।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, রোববার মামলাটি থানায় রুজু হয়।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল নুরুল হক তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে বক্তব্য দেন। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে, এমন আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। তিনি এজাহারে নুরুল হকের বক্তব্যের কিছু অংশ উদ্ধৃত করেন। তিনি বলেন, নুরুল হকের ওই বক্তব্যের নিচে অনেকে লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন। ওই সব মন্তব্যের ভেতর ‌সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য আছে।

ইলিয়াস হোসেনের অভিযোগ, নুরুল হকের এই বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানে। নুরুল হকের বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

ইলিয়াস আরও বলেন, নুরুল হক ও তাঁর সহযোগী-সমর্থকদের আইনের আওতায় আনা গেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে।

ইলিয়াস হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে তিনি মনে করেন, নুরুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে তিনি যা মন চায়, তা-ই বলতেই থাকবেন। আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের কোনোটির তিনি সদস্য কি না, জানতে চাইলে ইলিয়াস বলেন, তিনি একজন সমর্থক।

তাঁর মূল পরিচয় তিনি একজন সংগীতশিল্পী।
এর আগে রোববার রাতে শাহবাগ থানাতেও নুরুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছিল।