নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বলছে, আইএসপন্থী নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় এক সদস্যকে তারা গ্রেপ্তার করেছে।
সিটিটিসির ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম শিব্বির আহমাদ (২২)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পূর্ব বাসাবো এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন, জিহাদি বই ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ বই উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
সিটিটিসি বলছে, শিব্বির আহমাদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে শিব্বির জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছিলেন। নব্য জেএমবির একসময়কার আমির মুসার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধারাবাহিক অভিযানে যায়। ২০১৮ সালে মৌলভীবাজারের বড়হাটে সিটিটিসির অভিযানে মাঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা নিহত হন। মুসা হোলি আর্টিজানের হামলার পরিকল্পনাকারী তামীম চৌধুরী, মারজান, জাহিদুল ইসলাম, বাশারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর পর মুসা সংগঠনের আমির ছিলেন।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলেন, শিব্বির নব্য জেএমবি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত। শুরুতে তিনি সংগঠনের মিডিয়া উইংয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
মুসার মৃত্যুর পর তিনি কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে অনলাইনভিত্তিক সাংগঠনিক কাজকর্ম করতেন। অনলাইনে বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করে আইএস–অনুপ্রাণিত বিদেশি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তিনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, আফগানিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশের আইএস–অনুপ্রাণিত সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন।
সিটিটিসি বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে শিব্বির আরও জানিয়েছেন, দেশের ভেতরে নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য তিনি বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন।
সিটিটিসি জানায়, শিব্বির ঢাকার বাসাবোর সাইদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৭ সালে দাখিল পাস করেন। পরে বিভিন্ন মসজিদের মুয়াজ্জিন ও সহকারী ইমামের কাজের আড়ালে উগ্রবাদী ধারণা প্রচার করেন। জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।