ধর্ষণের পর কিশোরীকে পাচারের চেষ্টা, আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর ভারতে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ মঙ্গলবার সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ রেজাউল হায়দার এ কথা জানান।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মহেমুনুজ্জামান ওরফে প্রতীক খন্দকার ওরফে বাবু। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলার আরেক আসামি জান্নাতুল ওরফে জেরিন, রিফাত ও জাকিয়া আগেই গ্রেপ্তার হন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় যশোরের বেনাপোল থেকে।
সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, আসামি জেরিন ও মহেমুনুজ্জামান স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে ঘটনার শিকার কিশোরীদের বাসায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁরা মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন।
পুলিশ বলছে, গত বছরের নভেম্বরে মা–বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য হলে তাঁরা মেয়েটিকে ফুঁসলে বাসার বাইরে নিয়ে আসেন। পরে বাসে করে যশোরের বেনাপোলে নিয়ে যান।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, পাচারকারীরা মেয়েটিকে ওষুধ প্রয়োগ করে বা নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ায়। এ কারণে সে একরকম অচেতন অবস্থায় বেনাপোলে পৌঁছায়।
পরিবারের পক্ষ থেকে সবুজবাগ থানায় মামলা করা হলে পুলিশ বেনাপোলের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করে মেয়েটিকে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, ওই বাসায় আরও কয়েকটি মেয়েকে রাখা হয়েছিল।
প্রশ্নের জবাবে সিআইডি জানিয়েছে, জেরিন ও মহেমুনুজ্জামান পাঁচ ছয় বছর ধরে মালয়েশিয়ায় চাকরি দেওয়ার নাম করে নারী পাচার করে আসছেন। পাচারের শিকার আরেকজন নারী আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
জেরিন ও মহেমুনুজ্জামান দুজনেই মালয়েশিয়ায় হোটেলে কাজ করতেন। ফিরে এসে পাচারে যুক্ত হন।