তুচ্ছ ঘটনায় যুবক খুন, ক্ষুব্ধ জনতার হাসপাতালে হামলা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কথা-কাটাকাটির জের ধরে মনির হোসেন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের ফুলছড়া চা–বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
নিহত মনির শহরতলির মুসলিমবাগ এলাকার আকিল মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের মিদাদ শপিং সিটির রাজু কালেকশন নামের একটি দোকানে চাকরি করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল রাতে উপজেলার ফুলছড়া চা–বাগানের নাটমন্দিরের সামনে মনির হোসেনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ওই বাগানের চা–শ্রমিকদের। এ ঘটনার জের ধরে চা–শ্রমিকেরা মনিরকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় মনিরের সঙ্গে থাকা কয়েকজনও আহত হয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় মনিরকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আহত জহির মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে মনিরের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে মনিরের এলাকা মুসলিমবাগের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মনির হত্যার বিচারের দাবিতে মুসলিমবাগ এলাকার বাসিন্দারা রাত ১১টা থেকে শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা মনিরের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায়। এ ঘটনায় আহত কয়েকজন চা–শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাদেরও গ্রেপ্তারের দাবি জানায় এলাকাবাসী। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সদস্য সমর বিকাশ চাকমা ও শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অজয় সিংহ গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে রাতেই মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন চা–বাগানের পাঁচ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক কর্মীরা হলেন ওই এলাকার সঞ্জীব, জাহাঙ্গীর, চন্দন, পল্লব নায়েক ও উত্তম তন্তবায়।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, ‘রাতে উত্তেজিত এলাকাবাসীকে শান্ত করতে পুলিশের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আমরা আটককৃতদের ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে।’