টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী হাবিব উল্লাহ ওরফে হাবিব (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুরানপাড়া এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিব উল্লাহ হাবিব বাহারছড়ার শামলাপুর নয়াপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। টেকনাফ থানার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি, ২টি দেশীয় বন্দুক ও ১৪টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন টেকনাফ থানার পরিদর্শক রাজু, কনস্টেবল জিয়া ও বাদশা।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত হাবিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁকে আটক করার পর টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুরানপাড়া এলাকায় অভিযানে গেলে তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় হাবিবকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাশ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
গত এক মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তার, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১৮ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৫ পিচ ইয়াবা বড়ি, একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩৩টি এলজিগান, ১৬১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৪ মে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে র্যাব-পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকসহ ২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে। বাকি ২১ জনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।