টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে তিন ডাকাত নিহত: পুলিশ
কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার হ্নীলায় রঙ্গিখালী গহিন পাহাড়ে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্যও আহত হয়েছেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহত তিনজন হলেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী মাদ্রাসাপাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে ছৈয়দ আলম (৪০), তাঁর ভাই নুরুল আলম (৩৫) এবং একই এলাকার সব্বির আহমদের ছেলে আব্দুল মোনাফ (২০)।
পুলিশের দাবি, নিহত তিনজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের নামে হত্যা অস্ত্র , মাদক মামলাসহ সাত থেকে আটটি করে মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০০টি গুলি ও ৫৫০০০ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল পুলিশ আজ বুধবার ভোর থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত উপজেলার হ্নীলার রঙ্গিখালীর গহিন পাহাড়ে মাদক ও ডাকাতের আস্তানায় অভিযানে চালায়। ডাকাত দলের আস্তানা ঘেরাও করে ফেললে তারা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে পুলিশের চার কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছৈয়দ আলম, নুরুল আলম এবং আবদুল মোনাফের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার এবং ১৮টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০০টি গুলি এবং ৫৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরও বলেন, নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত চারজন নারীসহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৮২ জন রোহিঙ্গা নাগরিকও রয়েছেন।