ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ, শিক্ষক বরখাস্ত
নাটোর সদর উপজেলার চন্দ্রকোলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক আবদুল জলিলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের স্ত্রী অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত প্রতিবেদন ও শিক্ষককে কারণ দর্শানোর ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল জলিল চন্দ্রকোলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৬ মে কলেজের গভর্নিং বডির সভা হয়। সভায় তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযোগ ওঠা শিক্ষকের জবাব পর্যালোচনা করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাই কলেজের শৃঙ্খলা ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার দায়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবদুল জলিলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মোছা. মৌসুমী পারভীন ৭ মে তাঁকে বরখাস্তের চিঠি পাঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি চিঠি হাতে পান।
অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল জলিল তাঁর বিরুদ্ধে আনা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, তিনি অসুস্থ। তাই ১২ এপ্রিল থেকে তিনি ছুটিতে আছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ না করায় ষড়যন্ত্র করে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার শিক্ষক আবদুল জলিলকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাঁর কারণে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে। তাই নিয়মমাফিক তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।