২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চুরির অভিযোগে মা–মেয়েকে নির্যাতন: ছবি দেখে গ্রেপ্তার ৩

শুক্রবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। স্থানীয় চেয়্যারম্যান এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

চুরির অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে মা–মেয়েকে রশিতে বেঁধে মারধর করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ছবি ও ভিডিও দেখে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চকরিয়া থানার পুলিশ রোববার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। সোমবার বিকেলে ৫৪ ধারায় তাঁদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই তিনজন হলেন নজরুল ইসলাম (২৭), জসিম উদ্দিন (৩২) ও মো. নাছির (২৮)। নজরুল গরু চুরি সংক্রান্ত মামলার বাদী মাহবুবুল হকের ছেলে আর জসিম ও নাছির ওই মামলায় সাক্ষী ছিলেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় কয়েকটি ভিডিও ও ছবি পুলিশ সংগ্রহ করেছে। এসব ভিডিও ও ছবি দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে নজরুল, জসিম ও নাছিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

শুক্রবার চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের একটি গ্রামে গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে রশিতে বেঁধে নির্যাতন করেন স্থানীয় লোকজন। ওই দুই নারীর সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। পরে তাঁদের কয়েকটি গ্রাম ঘুরিয়ে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় তাদের মারধর করেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে চেয়ারম্যান তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাঁদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। ওই রাতেই গরু চুরির অভিযোগ এনে তিন নারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা করেন মাহবুবুল হক নামের এক ব্যক্তি। পরের দিন শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। সোমবার কক্সবাজারের চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব মা-মেয়েসহ তিন নারীকে জামিন দেন। বাকি দুজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

নারীদের রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ও কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।