চার ক্লাবে মিলল টাকা, মদ, সিসা, ক্যাসিনো-জুয়ার সামগ্রী

এবার একসঙ্গে চার ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত আরামবাগ, মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া ও দিলকুশা ক্লাবে এই অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এখন ক্লাবগুলো থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা, মদ, সিসা ও ক্যাসিনো-জুয়ার সামগ্রী জব্দ করা হচ্ছে।

এই ক্লাবগুলোয় ক্যাসিনো রয়েছে বলে প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চলছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া একজন পুলিশ সদস্য জানান, চারটি ক্লাবেই ক্যাসিনোর সামগ্রী পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি ঢাকায় ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ফকিরাপুরের ইয়ংমেনস ক্লাবে প্রথম অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সামগ্রী জব্দ করা হয়।

ডিসি আনোয়ার হোসেন পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাসিনো বন্ধ করার জন্যই আমাদের এই অভিযান। চারটি ক্লাবে অভিযান হচ্ছে। সেখান থেকে ক্যাসিনোর সামগ্রী, টাকা ও মদ উদ্ধার করা হয়েছে।’


আগে অভিযান কেন চালানো হয়নি—সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান সব সময় চলছে। তিনি আরও বলেন, ক্যাসিনোর সামগ্রী এক দিনে আসেনি। তার মানে পুলিশ জানত না বা পুলিশ কিছু করেনি তা নয়। তথ্য পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সব সময় অভিযান পরিচালনা করেছে। হয়তো এত বড় পরিসরে হয়নি। মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করেছে সেভাবে হয়নি।

চারটি ক্লাব ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ক্লাবেই ক্যাসিনোর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম রয়েছে। জুয়া খেলার বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামও রয়েছে।

পুলিশ ক্যাসিনোতে ব্যবহারের জন্য কয়েন ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করে। ছবি: কামরুল হাসান
পুলিশ ক্যাসিনোতে ব্যবহারের জন্য কয়েন ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করে। ছবি: কামরুল হাসান
ক্যাসিনোগুলো পরিচালনার জন্য নেপাল থেকে অভিজ্ঞ কর্মী আনা হয়। খেলা শুরু করার আগে তারা এখানে প্রার্থনা করেন। ছবি: কামরুল হাসান
ক্যাসিনোগুলো পরিচালনার জন্য নেপাল থেকে অভিজ্ঞ কর্মী আনা হয়। খেলা শুরু করার আগে তারা এখানে প্রার্থনা করেন। ছবি: কামরুল হাসান
কেউ যদি মাস্ক পরে সেখানে জুয়া খেলতে চান সে ব্যবস্থাও আছে। ছবি: কামরুল হাসান
কেউ যদি মাস্ক পরে সেখানে জুয়া খেলতে চান সে ব্যবস্থাও আছে। ছবি: কামরুল হাসান
ক্যাসিনোর একটি সামগ্রী। ছবি: কামরুল হাসান
ক্যাসিনোর একটি সামগ্রী। ছবি: কামরুল হাসান

আরও পড়ুন: