চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪
আধিপত্য বিস্তার ও কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই উপপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের ছাত্রী হলের ঝুপড়িতে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। এতে চার ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
বিবদমান পক্ষ দুটি হলো সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। এদের মধ্যে সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানের ও সিক্সটি নাইন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। পাশপাশি সিএফসির নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক এবং সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে আছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ওরফে টিপু। বর্তমানে ক্যাম্পাসে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনটির দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং অন্যটি শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী। এই দুই পক্ষের মধ্যে আরও ১১টি উপপক্ষ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এসব উপপক্ষের মধ্যে অসংখ্যবার সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক নেতা-কর্মী।
সংর্ঘষের বিষয়ে সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ঝুপড়িতে তাদের কয়েকজন কর্মী বসে কথা বলছিলেন। এমন সময় সিএফসির নেতা-কর্মীরা এসে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। তবে সিএফসির নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, সিক্সটি নাইনের কর্মীরাই প্রথমে হামলা করেছেন।
ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্র জানায়, ছাত্রী হলের ঝুপড়িতে দুই উপপক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে সেখান থেকে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ঝুপড়িতে গিয়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয়ের চার কর্মী আহত হন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সিএফসি শাহ আমানত হলের সামনে ও সিক্সটি নাইন শাহ জালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি থমথমে। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন।
সংর্ঘষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খোঁজ নিয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘উভয় উপপক্ষের নেতাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা সতর্ক আছি।’